কেনিয়ায় স্মরণকালের ভয়ংকরতম খরা: নিশ্চিহ্নের পথে বন্যপ্রাণীরা

|

গত সেপ্টেম্বর থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কেনিয়ায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ খরা।

আফ্রিকার কেনিয়ায় অনাবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ খরায় নিশ্চিহ্নের পথে দেশটির বন্য প্রাণীরা। সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রকাশিত একটি ছবিতে উঠে এসেছে খরার প্রভাবে কীভাবে অসহায়ের মতো মৃত্যুবরণ করছে দেশটির জিরাফসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা। ওই ছবিতে দেখা যায়, কেনিয়ার সাবুলি ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেন্সির ছয়টি জিরাফের মৃতদেহ পড়ে আছে। ধারণা, প্রচন্ড খরায় খাবার ও পানির অভাবেই মৃত্যু হয়েছে জিরাফগুলোর।

শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পানি খেতে এসে কাদায় আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এই ৬টি জিরাফের।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিরাফগুলো খাবার ও পানির অভাবে দুর্বল হয়ে যায়। একটি প্রায় শুকনো জলাশয়ে পানি পান করতে গিয়ে কাদায় আটকে মৃত্যু হয় তাদের। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কেনিয়ার উত্তরের বেশিরভাগ অঞ্চলে সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়েও ৩০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় দেশটিতে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে দেশটির বন্য প্রাণীরা। অসহনীয় খরায় বেড়েছে খাদ্য ও পানির অভাব।

পানির অভাবে মারা যাওয়া বুনো গরু।

কেনিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরার কারণে গারিসা কাউন্টির প্রায় ৪ হাজার জিরাফ নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

জিরাফ ছাড়াও দেশটির অন্যান্য বন্য প্রাণীদের নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।

বোর-আলগি জিরাফ অভয়ারণ্যের এক কর্মী বলেন, বন্যপ্রাণীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। খরায় গৃহপালিত প্রাণীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হলেও বন্যপ্রাণীদের জন্য কিছুই করা হয়নি। মানুষ নদীর ধারে কৃষিকাজ করে এজন্য জিরাফরা পানি খেতে নদীতে যেতে পারে না। ফলে ওদের জীবন এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে।

শুধু প্রয়োজন ছিলো একটু পানি, যা মেলেনি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা এ খরাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেন। অবস্থা এততাই খারাপ যে, খরায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ লাখ মানুষের জন্য দেশটির জাতীয় খরা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে একটি জরুরি ত্রাণ স্থানান্তর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply