আর্জেন্টিনায় শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

|

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথমদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের প্রেসিডেন্ট তুন খিন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনার সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) ফেডারেল আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে।

এর আগে গত ২৬ নভেম্বর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের ফেডারেল ক্রিমিনাল কোর্টের দ্বিতীয় চেম্বার আদালত ‘সর্বজনীন এখতিয়ার’ নীতির আওতায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। ওই সময় তুন খিন বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

সাক্ষ্য দেয়ার সময় আদালতে মিয়ানমারে তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের কী ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে তার বিবরণ তুলে ধরেন তুন খিন। বলেন, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেয়া হয়নি। আমার অপরাধ, আমি রোহিঙ্গা। বৈষম্য, নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে আমার মা-বাবা ১৯৭৮ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যেতে বাধ্য হন।

তুন খিন বলেন, শুধু নিজের দুর্ভাগ্যের কথাই নয়, আমার চোখের সামনে দেখা গণহত্যার শিকার হওয়ার তথ্যও আদালতে তুলে ধরেছি। ২০১৭ সালে মিয়ানমার গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছিল বাংলাদেশে। তখন তিনি কক্সবাজারে এসে কয়েক সপ্তাহ ছিলেন। সে সময় তার সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত, অভিজ্ঞতার কথা আদালতে উপস্থাপন করেন। যেখানে উঠে আসে মিয়ানমার থেকে আসা অনেক রোহিঙ্গার শরীরে আঘাতের চিহ্নের বর্ণনা। পাশাপাশি আদালতকে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন অনেক নারী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply