সিনেমার গল্পে জীবন থাকে। যে জীবনে থাকে নানা চরিত্র আর সম্পর্ক। তবে সব ছাপিয়ে মাতৃত্বের বন্ধন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে আমাদের সিনেমায়। অনেক অভিনেত্রীই দ্যুতি ছড়িয়েছেন মা চরিত্রে। আমাদের আজকের প্রতিবেদনের আলোচনায় থাকছেন তেমনই কয়েকজন মা।
একটি পরিবার, কিছু সম্পর্ক, সম্পর্কের টানাপোড়েন। কখনও পরিবারে দেখা দেয় ভাঙন। তখন মাই আসেন সংসারের হাল ধরতে। বাংলা সিনেমায় এমন গল্পের দেখা মিলেছে দশকের পর দশকে। আবার অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে মাকে নিয়েই।
বাংলা সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন অনেকেই। সে তালিকায় রাখা যায় রোজী সামাদ, আয়েশা আক্তার, রওশন জামিল, দিলারা জামান, আনোয়ারা, ডলি জহুর, খালেদা আক্তার কল্পনা বা একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ববিতা, শাবানাসহ অনেককেই।
তবে এখনও বাংলা সিনেপ্রেমির স্মৃতিতে মা হিসেবে আনোয়ারর মুখ ভাসে সবার আগে। নতুন এবং পুরানো মিলে প্রায় সব নায়ক-নায়িকার মা হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গোলাপী এখন ট্রেনে, শুভদা, দাঙ্গা, ভাত দে এবং শ্রাবণ মেঘের মতো জনপ্রিয় অনেক সিনেমায় তিনি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে বয়স বাড়ায় এখন রূপালি পর্দায় তাকে আর তেমন দেখা যায় না।
রোজী সামাদকে মায়াময় মায়ের চরিত্রে দেখা গেছে অনেক সিনেমাতেই। তবে ২০০৭ সালের ৯ মার্চ কিডনিজনিত রোগে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
নায়িকা হিসেবে সিনেমায় এলেও মা হিসেবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন শবনম। কাজ করেন অনেক সিনেমাতে। পান দর্শকের ভালোবাসা। তিনিও এখন রয়েছেন রূপালি পর্দা থেকে অনেক দূরে। তবে আম্মাজান সিনেমায় তাকে মা হিসেবে দর্শক মনে রাখবে আজীবন।
বাংলা সিনেমার দাপুটে নায়িকা ববিতা মায়ের চরিত্রে ততোটা সফল না হলেও কিছু কিছু সিনেমায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন সফল মা হিসেবে।
শাবানা! নায়িকা হিসেবে যেমন সফল তেমনিভাবে সফল মমতাময়ী মা হিসেবে। অপেক্ষা, মরণের পরে, সত্য-মিথ্যা, সত্যের মৃত্যু নেই, পিতা মাতা সন্তান, রাগ অনুরাগ, মা যখন বিচারকসহ অনেক সিনেমার নাম উল্লেখ করা যায় যেসব সিনেমায় তিনি একজন আদর্শ মা।
এছাড়া আরও অনেকেই মা চরিত্রে অভিনয় করে হয়েছেন সফল। পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা। তবে এখন গল্পে মায়ের চরিত্র অনেকটাই গুরুত্বহীন। হয়তো সেকারণেই এই সময়ে আদর্শ কোনো মায়ের চরিত্র সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অনুপস্থিত।
/এডব্লিউ
Leave a reply