নেত্রকোণায় শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার

|

নাজমুন্নাহার (৫২).

স্টাফ রির্পোটার:

নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় একটি বাসায় তৃতীয় তলার কক্ষ থেকে এক স্কুল শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ ওই কক্ষের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মারা যাওয়া শিক্ষিকা হলেন, নাজমুন্নাহার (৫২)। তিনি শহরের রাজুর বাজার কলেজিয়েট স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তার বাবার বাড়ি নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা এলাকার তাতিয়র গ্রামে। তিনি শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় দেওয়ান ভবন নামের একটি পাঁচ তলার ভবনের তৃতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে একা থাকতেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, নাজমুন্নাহার গত বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে পাশের ইউনিটের লোকজন দরজা নক করেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া না পেলে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পুলিশ এসে রাত ১০টায় দরজা ভেঙে বেডরুমের বিছানা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা জানান, ওই শিক্ষিকার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মৃত শিক্ষিকার পরিবারের বরাতে পরিদর্শক সোহেল রানা আরও জানান, শিক্ষিকা নাজমুর নাহারের একমাত্র মেয়ে সন্তান বিয়ের পর স্বামীর সাথে থাকেন। তার প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহমুদের সাথে চার বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু তিনি পৃথক বাসা নিয়ে একা থাকতেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই নাজমুন্নাহার হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানান সোহেল রানা।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply