স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমবিএসটিইউ) ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত হলে থাকতে পারবে না বিবাহিত ছাত্রীরা। এমন নোটিশ পেয়ে হতাশ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিবাহিত ছাত্রীদের গত ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। নইলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হঠাৎ করে প্রভোস্টের এমন নোটিশে হাতশ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রীদের দাবি, বিবাহিত হলেও নিয়মিত হলে থাকলে তাদের যেনো সীট দেওয়া হয়। প্রভোস্ট বলছেন, নিয়ম নীতির বাহিরে কখনো যাওয়া সম্ভব না।
এমবিএসটিইউ’র আলেমা খাতুন ছাত্রী নিবাসের প্রভোস্ট ড. রোকসানা হক রিমি জানান, ২০০৫ সালে থেকেই এই নিয়ম ছিল। হলে সীট অনুযায়ী ছাত্রী বেশি, তাই নোটিশ দেয়া হয়েছে বিবাহিতরা যেনো হল ছেড়ে দেয়।
বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ নেই, হোক সেটা বিবাহিত বা অবিবাহিত। এছাড়া অসহায় ও গরীব শিক্ষার্থীদের অনেকে বিয়ের পরেও থাকছেন হলে। তাই বিবাহিত হলেও নিয়মিত যারা হলে থাকছেন, তাদের যেনো সীট দেওয়া হয়।
এমবিএসটিইউ’র আলেমা খাতুন ভাসানী ছাত্রী হলে ২৪৮টি সিট থাকলেও ছাত্রী রয়েছে ৩০০ শতাধিক। সবার জন্য হলে সিট বরাদ্দের দাবী সাধারণ শিক্ষার্থীদের। যাতে করে বিয়ের পরেও তারা হলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকার বিধি-নিষেধ বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল প্রতিনিধিরা।
Leave a reply