বাজেট সংশোধনের উদ্যোগ, ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে সরকার

|

শুরু হয়েছে বাজেট সংশোধনীর কাজ। এক্ষেত্রে নানাবিধ দিকনির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। করোনা সংকটে ব্যয় নিয়ন্ত্রণের পথে ছিল সরকার। নতুন পরিপত্রেও আছে লাগাম টানার বার্তা। সরকারি চাকরিজীবীদের গাড়ি কেনা এবং বিদেশ ভ্রমণ ব্যয়ে আগের মতোই চলমান রাখতে হবে কৃচ্ছতাসাধন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আয় যেহেতু কম, তাই ব্যয়েও নিয়ন্ত্রণ দরকার।

তীব্র করোনা সংক্রমণে গেল প্রায় দুই বছর ধরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা। অভ্যন্তরীণ আয় কমে যাওয়ায় ব্যয়ের ক্ষেত্রে হিমশিম অবস্থায় সরকার। টানাটানির মধ্যেই চলতি অর্থবছরে বড় আকারের বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। তবে অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে টেকশই উপায় না থাকায় কৃচ্ছতাসাধনের পথেই হাটছে সরকার।

বাজেট সংশোধনের রূপরেখা তৈরি করে সব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের ভ্রমণ ব্যয়ের ওপর বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়। বলা হয়, শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্রে ভ্রমণ করা যাবে এবং সরকারি ভ্রমণ ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০ ভাগ ব্যয় করা যাবে।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার আলোকে সব ধরনের মোটরযান কেনা এবং প্রতিস্থাপনে ৫০ ভাগের বেশি অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এ খাতে বরাদ্দ করা বা অব্যয়িত অর্থ অন্য কোনো খাতে কোনোভাবেই স্থানান্তর না করার নির্দেশনা দিয়েছে অর্থবিভাগ।

অভ্যন্তরীণ আয় কমে যাবার ফলে ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরে রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছর জুড়েই এমন ব্যয় সংকোচন নীতি বজায় রাখতে চায় সরকার।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply