ক্রাইমিয়ায় অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে রাশিয়া। পরীক্ষা চালিয়েছে শূন্যে চলমান লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম ‘ওরিয়ন’ ড্রোনের। প্রতিবেশী ইউক্রেনের সাথে টানাপোড়েনের মধ্যে এ মহড়ায় উদ্বিগ্ন দেশটিসহ আন্তর্জাতিক মহল।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তড়িঘড়ি আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের সাথে বৈঠক করেছে ইউক্রেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) আঞ্চলিক মিত্র পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ার সাথে ত্রিদেশীয় বৈঠকে বসে দেশটি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার হুমকি-হুঁশিয়ারি এবং আগ্রাসন থেকে ইউরোপকে রক্ষাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে লড়াইয়ের অগ্রভাগে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে পোল্যান্ড ও লিথুনিয়া। হামলা মোকাবেলায় আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী প্রতিরোধ কাঠামো। সহিংসতার পরিকল্পনা ঠেকাতে দরকার কার্যকরী নিষেধাজ্ঞা।
নিন্দা-সমালোচনার চাপে থাকা পুতিন প্রশাসনও দমবার পাত্র নয়। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সীমান্তের রণপ্রস্তুতি বাড়াচ্ছে উত্তেজনা।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রুশ সীমান্তে বিভিন্ন ধরণের সমরাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনা কারো কাছেই গোপন নেই। সেটি পরিস্থিতি শান্ত করার বদলে বাড়াচ্ছে বিপদের সম্ভাবনা। এখনই পশ্চিমাদের পরিকল্পনা আঁচ করা যাচ্ছে না। শুনতে পাচ্ছি, তারা শান্তি আলোচনার চেষ্টা করছে। নিঃসন্দেহে সেটি ইতিবাচক সংকেত। কিন্তু, ন্যাটো সেনা না সরালে কোনো বৈঠক হবে না।
আরও পড়ুন: আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ কর দেয়ার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন এলন মাস্ক
২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া সংকটের পর, এবারই ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে তৈরি হলো সবচেয়ে বড় উত্তেজনা। ইউক্রেনের অভিযোগ, সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। যাকে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো।
জেডআই/
Leave a reply