জনস্বার্থে না শুধু ডলারের জন্যই আফগানিস্তানে আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হয়েছিল পাকিস্তান। এমনই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্তের জন্য রীতিমতো আক্ষেপ করে সেটিকে নিজেদের তৈরি ক্ষত বলে চিহ্নিতও করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে ৯/১১ কাণ্ডের পর আমেরিকা আফগানভূমে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বরাবরই দুই দশকব্যাপী এই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ করা নিয়ে আক্ষেপ করতেই দেখা গিয়েছে ইমরানকে। সেই সময় পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন পারভেজ মুশারফ। তারই সিদ্ধান্ত ছিল সেই যুদ্ধে অংশ নেয়ার।
সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এতদিন পরেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ইমরান। তিনি বলেন, এটা আমি খুব ভালো করেই জানি ওই সিদ্ধান্তের পিছনের কারণ। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, পাক জনতার কথা কোনও ভাবেই বিবেচনায় আনা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ওই সিদ্ধান্ত ১৯৮০’র দশকে নেয়া সিদ্ধান্তের সমান। সেই সময় আমরা আফগান জিহাদে অংশ নিয়েছিলাম। সেই সময় ওই যুদ্ধকে পবিত্র যুদ্ধ বলা হয়েছিল। আমরাই দায়ী, আমরাই অন্যদের ব্যবহার করতে দিয়েছি নিজেদের। তৈরি করেছি এমন বৈদেশিক নীতি যা জনহিতের বিরুদ্ধে যায়। কেবল ডলারই সেখানে একমাত্র আগ্রহ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মিললো ২৩০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধমন্দির
ইমরান খানের দাবি দাবি, এই ২০ বছরের যুদ্ধে ৮০ হাজার মৃত্যু ও ১০০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ইসলামাবাদকে।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, পড়শি দেশ হিসেবে সেখানকার পরিস্থিতির মোকাবিলা করা পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাবে অনেক বড় সংকটে পড়তে পারে পাকিস্তান। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের তালিবানরাজ পছন্দ বা অপছন্দ, যাই হোক না কেন, গোটা বিশ্বেরই উচিত সেদেশের ৪ কোটি মানুষের সমস্যার দিকে নজর দেয়া।
Leave a reply