গ্রীষ্মকালে সয়াবিনের নামে পাম অয়েল বিক্রি করে উৎপাদকরা!

|

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার প্রভাব নেই বাংলাদেশে। তাই ভোজ্যতেলের বাজার মানেই এখন হতাশা আর ক্ষোভ। এখনও গড়ে দেড়শ টাকা লিটার দরে কিনতে হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্রীষ্মকালে সয়াবিন নাম দিয়ে পাম অয়েল বিক্রি করে উৎপাদকরা। কিন্তু শীতে পাম জমাট বাধায় সে সুযোগ থাকে না, তাই দাম চড়া। যদিও, চিনির বাজারে কিছুটা স্বস্তির আভাস মিলছে।

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে হট্টগোলের শুরু গেল বছর এপ্রিলে। বিশ্ববাজারে দামের পারদ চড়া শুরু। প্রতি ব্যারেল ৭শ ডলার দর, বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয় এক বছরের মাথায়। কিন্তু এখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৩শ ডলারে।

কিন্তু দেশের বাজারে তার কী আসে যায়। ছুটির দিনে রাজধানীতে ৭শ টাকার নিচে মিলছে না ৫ লিটার সয়াবিনের বোতল। ব্র্যান্ডভেদে কিছু পণ্যের দাম আরও বেশি ১৩০ টাকা গুনতে হবে পাম অয়েলের জন্য। বাজারে খোলা তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত হলেও, সে আশায় এখনও গুঁড়েবালি।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দাম আরও বেশি। মোটাদাগে বেচাকেনা চলছে আগে কেনা পণ্য। ৫ লিটার বোতলের দাম এখানে ৭২০ টাকা। এখানে মাঝে রাইস ব্র্যান ও সরিষা তেলের চাহিদা বাড়লেও এখন সে গতি নেই।

দেশে ভোজ্যতেল বেচাকেনার সবচেয়ে বড় বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ। এখানে মোটাদাগে বেচাকেনা হচ্ছে আগের ডেলিভারি অর্ডার বা ডিও দিয়ে কেনা পণ্য। তাই ডিলারদের দাবি, বিশ্ববাজারে এখন দাম কমলে সে প্রভাব বাজারে পড়বে কয়েক মাস পর।

দেশীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ১৫ লাখ টন। যার বড় অংশই সয়াবিন।

অন্যদিকে বিশ্ব বাজারে দাম কমতে থাকলেও স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব নেই। প্রতি টন সয়াবিন তেলে দাম কমেছে প্রায় ২০০ ডলার। বলা হচ্ছে মজুদ শেষ হলে বাজারে আসবে নতুন দামের তেল, তখন কমে আসবে দাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাজারে তার প্রভাব পড়ে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply