শীতকে কাবু করতে আমাদের প্রধান অস্ত্র হলো গরম কাপড়। তবে শীতকালে শোয়ার সময়ও ঠাণ্ডায় একটু বেশি আরাম পেতে অনেকে মোজা বা গরম কাপড় গায়ে জড়িয়েই ঘুমান। তবে এতে উপকারের বদলে হতে পারে ব্যাপক ক্ষতি।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী-
উষ্ণতার তারতম্যে সংবহনতন্ত্রের নালীর সংকোচন ও প্রসারণ হয়। ভারী সোয়েটার পরে শুয়ে পড়লে অনেক সময় খুব দ্রুত বেড়ে যায় শরীরের তাপমাত্রা। আচমকা এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া সংবহনতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থাকলে এই ঘটনা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
রাতে সোয়েটার পরে ঘুমাতে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। রাতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তবে তা এক্সিমার মতো ত্বকের রোগ ডেকে আনতে পারে।
সাধারণত সোয়েটার যে ধরনের উপাদানে তৈরি হয় তা তাপমাত্রার রোধ হিসেবে কাজ করে, কাজেই সাধারণ সুতির পোশাকের থেকে অনেক বেশি তাপমাত্রা সংরক্ষিত হয় এতে। অতিরিক্ত উষ্ণতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
উলের মোজা পরে ঘুমানোও ভালো অভ্যাস নয়। উল তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য উপযোগী হলেও ঘাম শোষণ করতে পারে না একেবারেই। ফলে পায়ে ঘাম জমে যাওয়ার সমস্যা হয়, এতে পায়ে নানা রকম জীবাণু জন্ম নেয়। তৈরি হতে পারে নানা চর্মরোগও।
শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই ঘুমের সময়ও গরম পোশাক পরিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে উপকরের বদলে অপকারই হয় বেশি। গরমে ঘাম হয়ে গেলে বুকে ঠাণ্ডা বসে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এসজেড/
Leave a reply