চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: র‍্যাব

|

দুই র‍্যাব সদস্যের মাঝে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রধান আসামী আশিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে গত ২২ ডিসেম্বর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী আশিক ও তার সংঘবদ্ধ চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটি জানায়, সন্তানের চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারসহ চার মাস ধরে কক্সবাজারেই অবস্থান করছে। তাদের কাছে চাঁদা চেয়ে তা না পেয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় আশিক ও তার সংঘবদ্ধচক্র। এই আশিক কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়। মাদক, অস্ত্র, ব্ল্যাকমেইল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগে মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা টুরিস্ট পুলিশের কাছে আশিককে হস্তান্তর করা হবে বলেও এতে জানানো হয়। এদিকে, এই ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক তিনজনকে দুইদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আলোচিত এই ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আশিকুল ইসলাম এবং তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয়, মেহেদী হাসান ওরফে বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে ২৩ ডিসেম্বর রাতেই গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর রোববার (২৬ ডিসেম্বর) এই ঘটনার মূল হোতা আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।

এমএন/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply