অ্যাশেজে অভিষেক, সেটাও আবার মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে। অজি পেসার স্কট বোল্যান্ড রাঙালেন টেস্ট ক্রিকেটে তার আবির্ভাব, স্মরণীয় করে রাখলেন অভিষেক। মেলবোর্ন টেস্টে অ্যাশেজের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এক আগুন ঝরানো স্পেলে ৪ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই বোলার। আর তাতেই ১১৭ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বনিম্ন ৬৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড।
স্কট বোল্যান্ডের হোমগ্রাউন্ডই হচ্ছে মেলবোর্ন। জশ হ্যাজলউডের সাথে ঝাই রিচার্ডসন ও মাইকেল নেসেরের ইনজুরিতে সেই হোমগ্রাউন্ডেই অভিষেক হয় জেসন গিলেস্পির পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম আদিবাসী এই পেসারের। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টকে অস্ট্রেলিয়ায় বিবেচনা করা হয় বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে। আর সেখানেই জো রুটদের ব্যাটিং লাইনআপকে মাত্র ৪ ওভারের এক স্পেলে গুড়িয়ে দিয়ে দুই তেস্ট হাতে রেখেই মর্যাদার অ্যাশেজ সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেন তিনি। আগের দিন ৩ বলের মধ্যে নিয়েছিলেন ২ উইকেট, আর তাতেই কেঁপে উঠেছিল ইংলিশ ইনিংসের ভিত। আর আজ বল করেছেন মাত্র ৩ ওভার, নিয়েছেন আরও ৪ উইকেট!
আরও পড়ুন: ইনিংস ও ১৪ রানে হারলো ইংল্যান্ড
আগেরদিন ওপেনার হাসিব হামিদ ও নাইটওয়াচম্যান জ্যাক লিচের উইকেট শিকারের পর এদিন বল হাতে নিয়েই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন জনি বেয়ারস্টোকে। এরপর বোল্যান্ড শিকার করেন প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বড় উইকেট, জো রুটকে। অফস্ট্যাম্প চ্যানেলে দারুণ বলটিতে স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন তিনি রুটকে। আর এর মাধ্যমেই যেন তিনি উপড়ে নিলেন জয়ের পথে প্রধান কাঁটাটিকে। তবে তাতেও শেষ হয়নি বোল্যান্ডের তাণ্ডব। মার্ক উডকে কট অ্যান্ড বল করার পর অলি রবিনসনকে ফেরান মারনাস লাবুশেনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। আর এভাবেই তিনি লিখেন স্বপ্নের এক অভিষেক, যেখানে মেলবোর্নে হোমগ্রাউন্ডে ৭ রানে ৬ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও উঠে বোল্যান্ডের হাতেই। এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয় ‘মুলাগ স্বর্ণপদক’। কারণ ১৮৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার যেই দলটি প্রথম ইংল্যান্ড সফর করেছিল, সেটি ছিল একটি আদিবাসী ক্রিকেট দল। সেই দলের অংশ ছিলেন জনি মুলাগ। জেসন গিলেস্পির পর দ্বিতীয় আদিবাসী হিসাবে অভিষেক হয়ে নিজের মেডেন ম্যাচকে ইতিহাসের পাতার লিখে রাখলেন স্কট বোল্যান্ড।
Leave a reply