বিএসএফের গুলিতে খুন ইব্রাহিম, আট দিন পরও লাশ পায়নি পরিবার

|

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম নিহতের আট দিন পরও মরদেহ ফেরত পায়নি পরিবার। ইব্রাহীমের নাম চোরাকারবারিদের তালিকায় না থাকায় কৌশলগত কারণে মৃতদেহ গ্রহণ করছে না বিজিবি। এদিকে বাবার ঘরে ফেরায় প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে নিহতের অবুঝ দুই শিশু সন্তান।

বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সেখানেই স্বামীর মরদেহের জন্য প্রতীক্ষায় আয়েশা বেগম। অধীর অপেক্ষায় ইব্রাহিমের অবুঝ শিশুরাও।

গত ২১ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আজমতপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন স্থলবন্দরের দিনমজুর ইব্রাহিম আলী। এরপর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হলেও মরদেহ ফেরত পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী গত ১০ বছরে এই সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ১৫ বাংলাদেশী। মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট এই সীমান্তে বিএসএফ বরাবরই আগ্রাসী।

চোরাকারবারীদের তালিকায় নেই ইব্রাহীমের নাম। এমনটা বলছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি। তারপরও বিএসএফের বুলেট ক্ষমা করেনি তাকে। দুঃখজনক এই মৃত্যুর পরও কৌশলগত কারণে মরদেহ ফেরত পেতে দেরি হচ্ছে জানিয়েছেন, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা।

সীমান্তে বিএসএফের নৃশংস হত্যা বন্ধে ভারতের চোরাকারবারীদের দমনের দাবি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply