শেষ কবে মিটারে চড়েছেন সিএনজি বা অটোরিকশায়?

|

মিটারে চলে না সিএনজি চালিত অটোরিকশা। তবে, মামলা থেকে বাঁচতে চালু রাখা হয় সিএনজি মিটার। এ নিয়ে অজুহাতের শেষ নেই চালক-মালিকদের। ঝামেলা এড়াতে চুক্তিতেই গন্তব্যে যাচ্ছেন অসহায় যাত্রীরা। কিলোমিটার হিসেবে ভাড়া বাড়াতে চান সিএনজি মালিকরা। আর চালকরা চান চাঁদামুক্ত নির্বিঘ্ন রাস্তা। এসবের চক্করে আবারও ভুক্তভোগী ওই যাত্রীরা।

কে কবে শেষ মিটারের ভাড়ায় চড়েছেন সিএনজিতে? কেউ ২ বছর আগে কেউবা ৫ বছর আগে। মিটারে যাত্রী নিয়ে গেছেন এমন সিএনজি চালকও কি খুঁজে পাওয়া যায়? সিএনজি চালকদের উত্তর, মিটারে গেলে তাদের পোষায় না। যেখানেই যায় সেখানেই দিতে হয় চাঁদা- এমনই অভিযোগ চালকদের।

এতো অজুহাত, তাহলে মিটার রেখে কি কাজ? যাত্রী তুলে সচেতনভাবে মিটার চালু করারই বা কি মানে? চালকদের উত্তর, শুধু সার্জেন্টদের হয়রানির হাত থেকেই বাঁচতে এই মিটার চালু রাখা হয়।

আরও পড়ুন: আগামী বিজয় দিবসে চালু হবে মেট্রোরেল

মামলা এড়াতে এটাই চালকদের টেকনিক। অথচ একইরকম দেখতে মিটারছাড়া প্রাইভেট সিএনজিও ছেড়ে দেয় পুলিশ। কারণ, সেগুলোর মালিকও পুলিশ। একই শহরে চলছে তিন ধরনের সিএনজি অটোরিকশা। এ নিয়ে অব্যবস্থাপনাও ত্রিমুখি।

মিটারে চলুক বা না চলুক মিটার বসানো আছে এমন সিএনজির সংখ্যা ১৫ হাজার যেখানে অবৈধ অর্থাৎ মিটার বসানো নেই এমন সিনজির সংখ্যা ১৮ হাজার। সেগুলো ঢাকা জেলার নামেই রেজিস্ট্রেশন করা। সেখানে সবার মনেই একই প্রশ্ন, শত কোটি টাকা খরচ করে সিএনজিতে মিটার বসানোর যে প্রোজেক্ট সেটি কি শুধুই তামাশা ছিল।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply