কম্বল প্রদান অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে আহত অনেকে

|

ছবি: সংগৃহীত।

কে আগে কম্বল নেবে? ভারতের বর্ধমানে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। এতে হুড়োহুড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বর্ষবরণে ‘ফেস্টিভ মুডে’ বাংলা। নতুন বছরের প্রথম দিনে আবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবসও পালন করেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। তবে সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বর্ধমান শহরে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ধমান শহরের কার্জন গেটে ওইদিন দুপুর থেকে সরগরম ছিল গোটা এলাকা। করোনা আবহে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে কার্জন গেটে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি, কাটোয়া বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়সহ আরও অনেকেই।

প্রথমে ৪ অ্যাম্বুল্যান্স ও ২ শববাহী গাড়ি উদ্বোধন করা হয়। এরপর যখন মাইকে কম্বল বিলির কথা ঘোষণা করা হয়, তখনই ঘটে বিপত্তি। কম্বল নেয়ার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, কারও মুখে মাস্কও ছিল না বলে অভিযোগ। এতটাই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান এক মহিলা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও বেশ কয়েকজন।

আরও পড়ুন: কোভিড পজেটিভ, বিমানের বাথরুমে ৫ ঘণ্টা আইসোলেশনে থাকলেন মার্কিন নারী

করোনা পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জমায়েতের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অবশ্য বিধায়ক খোকন দাসের দাবি, কম্বলের সাথে ৪ হাজার মাস্কও দিয়েছি। অধিকাংশই মাস্ক পরেছিল। ভিড় হলে একটু হুড়োহুড়ি হবেই। কিন্তু আমরা বারবার মাইকে ঘোষণা করেছি। সবাইকে সতর্ক করেছি।

এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply