গত বছরের ডিসেম্বরে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে ভারতের অর্থনীতি পর্যবেক্ষক উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই। সেখানে দেখানো হয়েছে, ডিসেম্বরে সমগ্র ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছিল ৭.৯ শতাংশ। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত আগস্টে ওই হার ৮.৩ শতাংশ ছিল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আগস্টের পর উৎসবের মৌসুমে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কমেছিল। নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ শতাংশে। কিন্তু ডিসেম্বরেই ফের এক লাফে তা ৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। উদ্বেগের আরও বড় কারণ হলো, ওই সময়ের মধ্যে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৯.৩%। গ্রামাঞ্চলে কিছুটা কম, ৭.২৮%।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেয়ার জন্য ‘১০০ দিনের কাজ’ সহ বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে সরকারের। তাছাড়া এখন চাষের মৌসুম হওয়ায় অনেকের তাতে যুক্তও আছেন। অন্যদিকে, করোনার ধাক্কায় শহরাঞ্চলে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। অনেক প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। ডিসেম্বরে কাজের সুযোগ কিছুটা বাড়লেও চাকরি প্রত্যাশীদের তুলনায় তা খুবই কম। তাই শহরের তুলনায় গ্রামে বেকারত্বের হার কিছুটা কম।
এদিকে, ভারতে এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। খুব শিগগিরই তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তেমন হলে আবারও লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধের দিকে যাবে ভারত সরকার। আর এর ফলে বেকারত্বের হার এক ধাক্কায় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসজেড/
Leave a reply