চিকিৎসকের গাফিলতিতে ১৯ বছর ধরে দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করছেন চুয়াডাঙ্গার বাচেনা খাতুন। অপারেশনের সময় পেটের ভেতর রাখা কাঁচি বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ২ জানুয়ারি এক্সরে’তে ধরা পড়ে বিষয়টি। ভুক্তভোগীকে সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন মেহেরপুরের সেই ক্লিনিক মালিক। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
চুয়াডাঙ্গার হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা হলেন ভুক্তভোগী এই বাচেনা খাতুন। ২০০২ সালে পেটে ব্যাথা অনুভব হলে মেহেরপুরের গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ডাক্তার দেখান বাচেনা খাতুন। তার দাবি, সেখানেই তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। সাথে ছিলেন ক্লিনিক মালিক পারভিয়াস হোসেন রাজা আর অ্যানেস্থেসিয়ায় তাপস কুমার। তারপর থেকে আর সুস্থ্য হতে পারেননি বাচেনা। চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে আজ নিঃস্ব পরিবার।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার
চিকিৎসকের এমনকাণ্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। জড়িতদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তারা। অপারেশন যিনি করেছেন সেই চিকিৎসক মিজানুর এখন কোথা তা জানা যায়নি। দায় স্বীকার করে বাচেনা খাতুনের সুচিকিৎসায় সবধরনের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস ক্লিনিক মালিক।
পেটের ভেতর কাচি ধরা পড়ার পর সেটি বের করার উদ্যোগ নিয়েছে বাচেনা খাতুনের পরিবার। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন সিভিল সার্জন।
এসজেড/
Leave a reply