বিনাবিচারে আটকাদেশের প্রতিবাদে টানা ১৪১ দিন অনশনের পর অবশেষে ফিলিস্তিনি বন্দী হিশাম আবু হাওয়াশকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।
মিসরের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির ফলে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) অনশন ভাঙেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে কারাগার থেকে ছাড়া পাবেন হিশাম। তার মুক্তির ঘোষণাকে দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় বিজয় বলছে ফিলিস্তিনিরা।
হিশামের মুক্তির ঘোষণা শুনে পশ্চিম তীরে তার বাড়ির সামনে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের বিজয় উৎসব। পরিবার-স্বজন থেকে স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা, সবার চোখে-মুখে যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। বন্দি হিশামের ছোট সন্তানকে নিয়ে উল্লাসে মেতেছেন ভাই ইমাদ আবু হাওয়াশ।
ইমাদ বলেন, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না কতটা আনন্দিত। এই অত্যাচারী, অপরাধী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে হিশাম। সব বন্দী, শহীদ আর ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিজয় এটা।
ইসরায়েলে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনির একজন ৪০ বছর বয়সী হিশাম। বিনা বিচারে ৬০ দিন পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে সন্দেহভাজন কাউকে। আদালতের অনুমোদন পেলে বাড়তে পারে মেয়াদ। এমন আটকাদেশের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন হিশাম। যা আলোড়ন তোলে বিশ্বজুড়ে।
গত ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হিশামকে। বাড়ে নিন্দা-সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত মিসরের মধ্যস্থতায় হয় চুক্তি। জানানো হয়, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর আর বাড়ানো হবে না আটকাদেশের মেয়াদ। তবে ইসরায়েল প্রশাসনের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।
ইসরায়েলের বিনা বিচারে আটকাদেশের নিয়ম নিয়ে বহু দিন ধরেই সমালোচনা করছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন: দ্রুত ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
জেডআই/
Leave a reply