ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের মাঠে এখন একটাই আলোচনা, নৌকার প্রার্থী হারছে। জিতছে স্বতন্ত্ররা। এমন আলোচনার পালে হাওয়া জুগিয়েছে সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চম ধাপের নির্বাচন। সেখানেও সরকারসমর্থিতদের চেয়ে জয় পেয়েছে বেশি স্বতন্ত্ররাই। খোদ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মনে করছে, তৃণমূলে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেয়াতেই ঘটছে এমন ঘটনা।
এ পর্যন্ত ৫ দফায় হলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। চার দফাতেই চোখ রাঙাচ্ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা প্রার্থীরা। শেষ দফায় নৌকার প্রার্থীদের ছাড়িয়ে গেলেন তারা।
পঞ্চম ধাপে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ৩৪১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। আর তাদের বিপরীতে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৪৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সঠিক প্রার্থী বাছাই না করাই এমন পরাজয়ের কারণ, বলছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। সুজন রংপুরের সভাপতি ফখরুল আনাম বেনজু এবং কুমিল্লা সনাকের সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা, উভয়েই মনে করছেন, ভোটের মাঠের ভুল কৌশলেই হেরেছে সরকারসমর্থিতরা।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম জানাচ্ছেন, নৌকার এমন পরাজয় বিব্রত করছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকেও। সাথে মনোনয়ন বাণিজ্যও নিয়ে সমালোচনাও ভাবাচ্ছে তাদের।
৫টি ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ডও হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাও ভোটের রাজনীতিতে শুভ লক্ষণ নয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply