করোনার মহামারিতে কেউ হারিয়েছেন কাজ, কেউ আবার ঘরে বসেই বিরক্ত। বিষন্নতা-হতাশা গ্রাস করছে কাউকে কাউকে।তাই রাগ কমাতে নেদারল্যান্ডসে গাড়ি ভাঙার ব্যতিক্রমী এক ইভেন্ট চালু করেছে একটি প্রতিষ্ঠান।
রাগ ও হতাশা কমাতে এমন কাণ্ড করেছেন নেদারল্যান্ডসের ‘কারম্যাশ’ নামে একটি ইভেন্ট গ্রুপ। যেখানে মন চাইলেই কেউ গিয়ে শুরু করতে পারেন ইচ্ছেমতো ভাঙচুর। করোনার অতিমারিতে বিরক্ত-হতাশ ব্যক্তিরা যোগ দিচ্ছেন এমন আয়োজনে।
ব্রায়ান ক্রিজগার নামে নেদারল্যান্ডসের এক বারের মালিক বলেন, লকডাউনে আমাদের বার এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ। কিছুই করার নেই। সারাদিন শুয়ে-বসে অনেকটা বিরক্ত। হতাশা দূর করতেই গাড়ি ভাঙচুর করছি এখানে এসে।
ইভেন্টটির আয়োজকরা বলছেন, গাড়ির ওপর রাগ-ক্ষোভ ও হতাশার কারণ লিখে চালানো হয় ভাঙচুর। অনেকেই অসেন শুধু মজা করতেও। তবে এতে খরচ কতো পড়বে তা জানানো হয়নি।
কারম্যাশের প্রতিষ্ঠাতা মার্লিন বশুজেন বলেন, গাড়িতে স্প্রে ক্যান দিয়ে রাগের কথাগুলো লিখে দেই। অনেক সময় তারা নিজেরাই ক্ষোভের বিষয় লিখে ভাঙতে শুরু করেন। ভাঙার পর প্রশমিত হয় রাগ।
শুধু গাড়ি ভাঙাই নয়, রাগ নিয়ন্ত্রণে অনেকে সমুদ্রের পাড়ে গিয়েও ঝগড়া বা উচ্চস্বরে কথা বলেন। তবে মনোচিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ সাময়িক উপায় হলেও, দীর্ঘমেয়াদে সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পন্টার্স লেন্ডার নামে নেদারল্যান্ডসের এক মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ বলেন, এটি বুদ্ধিহীন আগ্রাসী আচরণ। সবাই তো সমানভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এর ক্ষতিকর দিকও আছে। নিজের ক্ষতির পাশাপাশি অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বাড়তে পারে।
শুধু নেদারল্যান্ডসেই নয়, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে রেজরুম, অ্যাঙ্গার রুম বা অন্যান্য নামে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ক্ষোভ ঝারার এমন অভিনব পন্থা।
জেডআই/
Leave a reply