গত বছরের বর্ষসেরা বাংলাদেশি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদন, ‘নিলামে মহাসড়ক’। গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের প্রকাশ করা এই তালিকায় দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, মানি লন্ডারিং, প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলা- এমন অনেকগুলো বিষয়ের উপর তৈরি হওয়া অসংখ্য প্রতিবেদনের মধ্য থেকে প্রতিবেদনের তাৎপর্য, প্রভাব, সততা, ঘটনার বৈচিত্র্য এবং প্রতিবেদনে ব্যবহৃত পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করে বেছে নেয়া হয় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন। আর তাতে জায়গা করে নিয়েছে যমুনা টেলিভিশনের করা মহাসড়ক নিলামে তোলার চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য, রাজধানীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কটির কিছু অংশ বিক্রি করেন আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। আর মহাসড়কের সেই অংশটি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণও নেন আবুল হোসেনের কাছ থেকে মহাসড়কের অংশবিশেষ কেনা সেই ক্রেতা। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ প্রদান করার পর সেই টাকা উদ্ধারে মরিয়া হয়ে সেই ব্যাংক খোদ মহাসড়কের আরেকটি অংশ নিলামে তোলে। কয়েক বছর ধরেই চলছে সেই মামলা। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন করে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী টিম ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি।
প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো ভূমি অফিসের নথিপত্র পর্যালোচনা করে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী দল দাবি করে, কমপক্ষে ৩টি সরকারি বিভাগ জড়িত রয়েছে এ ঘটনায়। মহাসড়কটির ক্রেতা, বিক্রেতা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি যে অফিসসমূহ জড়িত ছিল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায়; সকল জায়গায়ই তদন্তকার্য চালায় যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি টিম। তারা বের করে আনে ঘটনার ভেতরের ঘটনা এবং ক্রীড়নকদের।
Leave a reply