রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি থেকে। মূলত আয় থেকে ব্যয় মেটানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আর সম্ভাব্য নতুন প্রকল্প চালানোর সক্ষমতা অর্জনকে এর কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে নাগরিক নেতাদের অভিযোগ, সেবার মান না বাড়িয়ে পানির দাম একবারে কয়েক গুণ বাড়ানো হচ্ছে, যা নগরবাসীর জীবনযাপনের ওপর চাপ তৈরি করবে।
সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, রাজশাহী ওয়াসার পানিতে আছে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া। পেটের অসুখ-বিসুখের জন্য দায়ী এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির মাত্রাও বেশি। এরমধ্যেই পানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে নতুন এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো ওয়াসা।
নগরবাসীর অভিযোগ, চাহিদা মতো মেলে না পানি। যা পাওয়া যায় তা পানের অযোগ্য ও দূষিত। জনমতামত ও গণশুনানী ছাড়া দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে মনে করেন তারা। বিষয়টি অযৌক্তিক ও দৃষ্টিকটু দাবি করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদ ও কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবার মান বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করেই বৃদ্ধি করা হচ্ছে দাম। তাদের দাবি, বৃদ্ধির পরেও দেশের অন্য যেকোনো ওয়াসার তুলনায় রাজশাহীর পানির দাম কম হবে।
রাজশাহী নগরীতে ওয়াসা ২০১১ সাল থেকে পানি সরবরাহ করে আসছে। বর্তমানে দৈনিক পানির চাহিদা ১২৫ মিলিয়ন লিটার হলেও সরবরাহ করছে ১০৪ মিলিয়ন লিটার।
এসজেড/
Leave a reply