নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইনের কোনো বিকল্প নাই, এমনটা মনে করে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের যোগদান শেষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সংলাপে একাধিক ও শক্তিশালী ইসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ওবায়দুল কাদের এমনটা জানিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির দেয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপতি নিজস্ব বিবেচনায় উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেবেন এবং সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত উপযুক্ত আইন করা যেতে পারে। যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়ার জন্য আইন করার গুরুত্ব রয়েছে।
ইসিকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী করার বিষয়েও সংলাপে গুরুত্ব দিয়েছে দলটি।
এর আগে সোমবার বিকেল চারটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে যান।
প্রতিনিধি দলে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। সংলাপে প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পর্টি অংশ নেয়। ওই আলোচনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছিলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার এই উদ্যোগ।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ধারাবাহিকতায় শেষদিন আলোচনায় অংশ নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরদিন নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
/এমএন
Leave a reply