এখনও ছাইয়ের স্তুপের নিচে দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা। নজিরবিহীন অগ্ন্যুৎপাতে বিপর্যস্ত দেশটিতে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বেশিরভাগ এলাকা। একমাত্র সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চালু করা সম্ভব হয়নি ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক ফোন সার্ভিস। স্মরণকালের ভয়াবহতম অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্থ সাবমেরিন ক্যাবলও। তাই বাকি বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটি।
বিপর্যস্ত দেশটির পাশে দাঁড়াতে জরুরি সাহায্য নিয়ে ছুটছে বিভিন্ন দেশ। তবে বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সহায়তা আসছে সাগরপথে। এরইমধ্যে ত্রাণ সরবরাহে কাজ করছে জাতিসংঘ আর রেডক্রস। প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ের সংস্কারে কাজ করছে জাতিসংঘ ও নিউজিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ-স্বেচ্ছাসেবীরা।
জাতিসংঘের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর জোনাথন ভেইচ বলেন, জাতিসংঘের সব কর্মীরা নিরাপদে আছেন। দুর্গতদের সহায়তায় কাজ শুরু করেছেন তারা। পানি, খাবার ও তাবু সরবরাহ করছি। ক্ষয়ক্ষতিও খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। সাবমেরিন ক্যাবল ধ্বংস হওয়ায় ইন্টারনেটসহ টেলিসেবা প্রায় বন্ধ। বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু স্থানে সেবা চালু হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে প্রস্তুত হচ্ছে ত্রাণবাহী জাহাজ ‘এইচএমএএস এডিলেইড।’ পণ্যসামগ্রী নিয়ে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এটি রওয়ানা দেবে টোঙ্গার উদ্দেশে। ফিজির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রকৌশলীদের একটি দলও আছে এই বহরে। জরুরি সহায়তা নিয়ে নিউজিল্যান্ড থেকে রওয়ানা দিয়েছে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ। যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় আরও একটি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, তাদের যা কিছুই প্রয়োজন আমরা পাশে দাঁড়াবো। আমাদের সেনারা সেখানে কাজ করছে। ত্রাণবাহী পণ্য পাঠানো হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিজির সাথে সংযুক্ত টোঙ্গার একমাত্র সাবমেরিন ক্যাবল সংস্কারে সময় লাগতে পারে আরও অন্তত এক মাস। তাই ইন্টারনেট ও আন্তর্জাতিক টেলিসেবা চালুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে লম্বা সময়। এমনকি দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলটির পরিস্থিতি বুঝতে স্যাটেলাইটের ছবিই ভরসা।
জেডআই/
Leave a reply