দেশে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতেও তাই রোগীর চাপ। নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতালগুলো। বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী আর অক্সিজেন সরবরাহ। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকায় দ্রুত করোনা পরীক্ষা ও সেবা নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
দেশের প্রথম করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসা, নমুনা পরীক্ষা, টিকা নেয়াসহ নানা কারণে প্রতিদিনই হাজারো মানুষের আনাগোনা এই হাসপাতালে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখানে আরও চাপ বেড়েছে। দু’সপ্তাহ আগে যেখানে ভর্তি ছিলেন মাত্র ২০ জন রোগী, এখন সেই সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আক্রান্তের ৭০ ভাগ ওমিক্রন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালেও বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও চিকিৎসকদের ব্যস্ততা। তারা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। কুর্মিটোলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও সিলিন্ডার মিলিয়ে একসাথে ১২শ’ মানুষকে করোনার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, নার্সের।
মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটেও বাড়ছে রোগী। ওমিক্রণের সংক্রমণের হার অনেক বেশি। একই সাথে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টও কার্যকর। স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশপাশি, সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে ৫ দফা বিধিনিষেধ আরোপ
/এনএএস
Leave a reply