বছরে সড়কে ঝরেছে প্রায় ৮ হাজার প্রাণ

|

করোনার কারণে ২০২১ সালে গণপরিবহন বন্ধ ছিল ৮৫ দিন। কিন্তু তারপরও বছরটিতে ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। যাতে মারা যায় ৭ হাজার ৮০৯ জন। দুর্ঘটনাগুলোতে আহত হন ৯ হাজার ৩৯ জন। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে জাতীয় মহাসড়কে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ফিডার রোডে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ, রেলক্রসিংয়ে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪.৫ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে।

এর আগে ২০২০ সালে সড়কে দুর্ঘটনা হয় ৪ হাজার ৮৯১টি। মারা যায় ৬ হাজার ৬৮৬ জন। আর বছরটিতে আহত মানুষের সংখ্যা ৮ হাজার ৬০০ জন। ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি আরও জানায়, ২০২১ সালে দুর্ঘটনার ৩০ শতাংশ ট্রাক, লরিসহ ভারি যান, ২৫ শতাংশ মোটরসাইকেল ওবং ১০ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে বাসের কারণে। সংগঠিত দুঘর্টনার ৫৪ শতাংশই পথচারীকে চাপা দেয়ার ঘটনা, আর ২২ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ।

এই সময়ে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৯৬ জন, নৌপথে ৩১১ জন। সড়ক, রেল, নৌপথ মিলিয়ে ৮ হাজার ৫১৬ জন নিহত এবং ৭৫১ জন আহত হয়েছে বলে সংগঠনটির বার্ষিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন বলছে। তাদের দাবি ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। ২০২০ সালে সড়কে নিহত হয়েছিল ৬ হাজার ৬৮৬ জন, আহত ৮ হাজার ৬০০ জন।

দুর্ঘটনা বৃদ্ধির জন্য যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতাসহ ১৬টি কারণ চিহ্নিত করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা প্রভৃতিও এর জন্য দায়ী।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply