পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
দেশের সর্ব উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বেড়েই চলছে শীতের দাপট। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে গত কয়েক দিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে মাঘ মাসের কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষেরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতু্লিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরজমিনে দেখা যায়, এ জেলায় সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উত্তর দিকে থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। পাশাপাশি রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে পুরো জেলা৷ পর দিন সকাল পর্যন্ত কনকনে শীত ও কুয়াশায় মোড়ানো থাকে৷ তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা সূর্যের আলো পরিলক্ষিত হলেও সূর্যের তেমন উত্তাপ থাকে না। মাঘের এই শীতে মানুষ কাজকর্ম তেমন একটা করতে পারে না৷ অনেক শীতের কারণে সময় মতো কাজে যেতে পারছে না অনেকেই।
অন্যদিকে দিন দিন জেলার আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার বাকি চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেড়েছে রোগীর চাপ, হিমসিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রেও শীতের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা, গম খেত ও আলু খেতের ক্ষতির আতংকে কৃষকরা৷
জেলা প্রশাসন বলছে, জেলার ৫ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় গরীব,অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের জন্য ৩৩ হাজার ৬শ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদা পত্র প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
/এনএএস
Leave a reply