মানিকগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চলে আগে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি ফসল চাষাবাদ হতো, সেখানে এখন সবজিসহ প্রায় সবধরনের ফসল আবাদ হচ্ছে। বহু অনাবাদি জমি এসেছে আবাদের আওতায়। বর্তমানে কৃষিতে নির্ভর করেই সুদিনের স্বপ্ন বুনছেন নদী ভাঙনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করা চরের মানুষগুলো।
একসময় চরাঞ্চল মানেই ছিলো ধূ-ধূ বালুচর। মূলভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন এক জনপদ। চিরচেনা সেই রূপ এখন পাল্টেছে। বিস্তীর্ণ জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে নানা ফসলের। মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে অনাবাদি জমি এসেছে আবাদের আওতায়।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা যমুনার ৩১টি চরে রয়েছে মানুষের বসতি। এসব চরে আগে হাতেগোনা কয়েকটি ফসল হলেও বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্যশষ্য। চাষাবাদ হচ্ছে তেলজাতীয় ফসল ও সবজি। কৃষিতে সুদিন ফিরলেও চরের মানুষের আতঙ্ক নদী ভাঙন নিয়ে।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ জানালেন, চরে মোট জমির পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার হেক্টর। এর প্রায় ৬০ ভাগই এসেছে আবাদের আওতায়। মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও হচ্ছে ভালো।
/এডব্লিউ
Leave a reply