‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে পদক্ষেপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ’

|

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে চলমান ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ঢাকায় ইইউ মিশন প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ আছে তাদের, তবে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি। ইইউ পার্লামেন্টে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এক সদস্যের চিঠিকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে অভিহিত করেন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এ নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তাদের নিজেদের ব্যাপার, এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো মন্তব্য নেই।

এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশন আইন চূড়ান্ত। হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন যে কমিশন গঠিত হবে তাদের হাত দিয়েই হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। এই কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি বিএনপিসহ কয়েকটি দল। আগামী নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক রাখার ব্যাপারেও ইতিবাচক সরকার। বিষয়টি নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানালেন, চলমান এসব ঘটনায় নজর রাখছেন তারাও। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি পর্যবেক্ষক রাখা নিয়ে যা বলেছেন সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। বছরে তারা ৩০টি পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠান বলেও জানান ইইউ মিশন প্রধান। তবে ২০২৩ এর তালিকা এখনও হয়নি। আগামী নির্বাচন নিয়ে ইইউর আগ্রহ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর র‍্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউ পার্লামেন্টকে চিঠি দিয়েছেন তাদেরই এক এমপি। এর প্রভাব কী হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মিশন প্রধান বলেন, একজন এমপি ব্যক্তিগতভাবে এই চিঠি ইইউ হাই রিপ্রেজেন্টেটিভকে লিখেছেন। আমার কাছে এ নিয়ে কোনো তথ্য নেই। অন্য সদস্যরা কী মনে করেন বা এ নিয়ে কী করা দরকার, সেটি পার্লাামেন্ট ঠিক করবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এর সাথে ইইউর কোনো সম্পর্ক নেই। মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান পরিষ্কার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চাইলেও মিয়ানমারে ইইউর সদস্যরা কেন বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে চার্লস জানান, দেশটির নিরীহ মানুষকে শাস্তি দিতে চায় না তারা। তবে সংকটের সমাধানে মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply