শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ। ফলাফলও জানা হয়ে গেছে সবার। কিন্তু ঘুরেফিরে সম্পাদকীয় পদে ১৬টি ভোট নিয়ে প্রশ্ন আসছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সদস্য পদে ১০টি ভোট বাতিল হলেও, সম্পাদকীয় পদের ক্ষেত্রে ২৬টি ভোট বাতিল হয়েছে। দুইক্ষেত্রে দুই রকম ভোট বাতিল হওয়া নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। ইলিয়াস-নিপুন প্যানেল এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বরাবরই। আগামীকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) প্যানেলটি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে ৪২৮ ভোটারের মধ্যে ৩৬৫ জন ভোট দেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। আর এই পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১৬৩ ভোট পেয়ে নিপুন হেরেছেন।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত প্রথম ফলাফল মেনে নেয়নি নিপুন। এরপর এ অভিনেত্রী শনিবার আপিল বোর্ডে লিখিতভাবে আবেদন জমা দিলে এদিন সন্ধ্যায় আবারও ভোট গণনা হয়। কিন্তু পুনরায় ভোট গণনায় ফল পরিবর্তন হয়নি, গণনা শেষে জায়েদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে আপিলের ফলাফল জানাবে আগামীকাল রোববার (৩০ জানুয়ারি)।
কিন্তু তাতে মনে ভরেনি ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুন প্যানেলের মন ভরেনি এমন কথা শোনা গেছে। পুরো নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে রোববার সংবাদ করবে তারা, এমনটা জানা গেছে।
তবে বাতিল হওয়া ভোটের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান। এই অভিনেতা জানান, পুনরায় ভোট গণনায় দুই পক্ষেরই প্রতিনিধি ছিল। তাতে দেখা গেছে, এসব ব্যালটে একাধিক সিল মারা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিতেও মন ভালো নেই জায়েদ খানের, জানালেন মিশার সঙ্গে তার কেমন সম্পর্ক
এই নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী মিশা সওদাগর ১৪৮ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ২১৯ ভোট এবং রুবেল ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে ১৫৬ ভোট পেয়ে রিয়াজ এবং ডি এ তালেব ১১২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক ২১২ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। আর পদটিতে পরাজিত প্রার্থী সুব্রত ১২৭ ভোট পেয়েছেন।
শাহনূর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিপরীতে আলেক জান্ডার বো ১৫৫ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী ২০৫ ভোট এবং ১৩৪ ভোট পেয়েছেন নিরব। দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে আরমান ও জ্যাকি আলমগীর পেয়েছেন যথাক্রমে ২৩২ ও ১০৭ ভোট। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মামনুন ইমন ২০৩ ভোট পেয়েছেন; তার বিপরীতে পরাজিত প্রার্থী জাকির হোসেন ১৩৬ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান ১৯৩ ভোট এবং ফরহাদ ১৪৬ ভোট পেয়েছেন।
কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে জয় পাওয়া ফেরদৌস আহমেদ ২৪০ ভোট, অঞ্জনা সুলতানা ২২৫ ভোট, অরুনা বিশ্বাস ১৯২ ভোট, অমিত হাসান ২২৭ ভোট, মৌসুমী ২২৫ ভোট, আলীরাজ ২০৩ ভোট, কেয়া ২১২ ভোট, চুন্নু ২২০ ভোট, জেসমিন ২০৮ ভোট, রোজিনা ১৮৫ ভোট ও সুচরিতা ২০১ ভোট পেয়েছেন।
সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে আফজাল শরীফ ১৬৩ ভোট, ডন ১১০ ভোট, শাকিল খান ৭৯ ভোট, নানা শাহ ১৬২ ভোট, সাংকো পাঞ্জা ৮২ ভোট, পরীমণি ৭৯, গাঙ্গুয়া ৯৯ ভোট, সীমান্ত ১৭৩ ভোট, হাসান জাহাঙ্গীর ১১১ ভোট, রবিউল ইসলাম হরবোলা ৪৭ ভোট, আসিফ ইকবাল ১৬৮ ভোট, বাপ্পারাজ ১১৭ ভোট ও নাদির খান ১৭৯ ভোট।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে এ ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ছয়টা দশ মিনিট পর্যন্ত।
Leave a reply