মূল পেশাজীবীদের বাদ দিয়ে কক্সবাজারে ফটোগ্রাফার নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীদের। তাদের কাছ থেকে সনদ ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের ছবি তুলছেন সৈকতের অনেক ফটোগ্রাফার। এই সুযোগে কক্সবাজারে ঢুকে পড়ছে অবৈধ ছবিকারিগর। দিনশেষে যা পর্যটকদের হয়রানি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একসময় ভ্রমণ শেষে স্মৃতি হিসেবে স্যুভেনির সংগ্রহের প্রচলন ছিল। অনেকের কাছেই এখন তার আবেদন কমেছে, এর বদলে জায়গা নিয়েছে ডিজিটাল ছবি। পর্যটকদের সেই চাহিদার সুযোগ নেন ফটোগ্রাফাররা। সৈকতে নামলেই পাশে হাজির। শুরুতে আগ্রহী হলেও দিনশেষে ফটোগ্রাফারদের ভূমিকা ও আচরণে হতাশ অনেক পর্যটক।
ফটোগ্রাফারদের পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলতে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিচ কমিটি। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট পোশাক সবার গায়ে। কিন্তু সনদ যাচাইয়ে দেখা যায়, ছবির সাথে চেহারার মিল নেই কারো। মূলত নিবন্ধনবিহীন হলেও টাকার বিনিময়ে সনদ ভাড়া নিয়েছেন তারা। কেউ বাধা দেয় কিনা জানতে চাইলে ভাড়ায় সনদ নেয়া ফটোগ্রাফাররা জানান, বিচকর্মী আর পুলিশকে টাকা দিলে আর বাধা দেয় না। তবে টাকা না দিলে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি-ধামকি দেয়া হয় তাদের। বছরে আঠারো হাজার টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স ভাড়ায় নেন তারা।
একটি লাইসেন্সের মালিক রফিকুল ইসলাম। যেটি দেখিয়ে বিচে ছবি তুলছেন আরেকজন। মূল ছবিকরকে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় তিনি লাবনী বিচের আচার ব্যবসায়ী। দশ বছরেও ছবি তোলেননি রফিকুল। কক্সবাজারের লাইসেন্সধারীদের বেশিরভাগই এমন। অন্য পেশার হয়েও অদৃশ্য উপায়ে ফটোগ্রাফার বনে গেছেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলছেন, এটি সৈকতের অব্যবস্থাপনারই একটি উদাহরণ।
নিবন্ধন হিসেবে কক্সবাজার ও ইনানী মিলে কয়েক হাজার ফটোগ্রাফার আছেন। তবে অভিযোগ আছে, এর বাইরেও সৈকতে ছবি তোলেন আরও কয়েক হাজার লোক।
/এডব্লিউ
Leave a reply