রাতভর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উত্তাল ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। কখনও আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের টিয়ার শেল নিক্ষেপ আবার কখনও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ছে কোটা সংস্কারের পক্ষের শিক্ষার্থীরা। উভয়পক্ষে আহত হন অনেকে।
ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়ে চলে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ। একইসাথে চলে কোটা সংস্কার চেয়ে স্লোগান।
থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। হামলা থেকে রেহাই পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনও। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর ও তছনছ চালানো হয়।
এরমাঝেই শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ক্যাম্পাসে যান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন তিনি। জানান, এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদককে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলে ফেরত যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ।
আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে রোকেয়াসহ অন্যান্য হল থেকেও বেরিয়ে আসে ছাত্রীরা। তারা অবস্থান নেয় টিএসসিতে। সেখানেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। আহতদের হাসপাতালে নেয়ারও সুযোগ হয়নি।
রাতভর এই সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ অনেক শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
রাতভর সংঘর্ষের পর সকাল থেকে
এর আগে রোববার পূর্ব ঘোষিত গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন শেষে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এতে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
Leave a reply