ডোপ টেস্ট করাতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা

|

ছবি: সংগৃহীত

বিআরটিএ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয়হীনতায় ডোপ টেস্ট করাতে গিয়ে নানা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। ডোপ টেস্টের জন্য ঢাকায় ছয়টি হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হলেও এখনো তিনটি হাসপাতালে শুরু হয়নি এ কার্যক্রম। ফলে প্রতিদিন কয়েক’শ চালককে টেস্ট করানোর জন্য ঘুরতে হচ্ছে হাসপাতালে হাসপাতালে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ সনদ জমা দিতে হবে বিআরটিএ-তে। মাদকাসক্তদের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে ৩০ জানুয়ারি থেকে নতুন এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাথে জড়িতরা স্বাগত জানিয়েছেন এ সিদ্ধান্তকে। ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন চালকরাও।

তবে বিপত্তি বেধেছে অন্য জায়গায়। ঢাকায় লাইসেন্সের আবেদনকারীদের ডোপ টেস্টের জন্য ছয়টি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে কেবল ঢাকা মেডিকেল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। তিন হাসপাতাল মিলিয়ে দিনে ডোপ টেস্ট হচ্ছে হাতে গোনা ৪০ থেকে ৫০ জনের। অথচ, প্রতিদিন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করেন অন্তত ৩০০ জন।

এমনিতেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হয়রানির অভিযোগ পুরনো। ডোপ টেস্টের জন্য দীর্ঘ সিরিয়ালে এখন নতুন ভোগান্তির শঙ্কা চালকদের।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডোপ টেস্ট বাড়তি চাপ হয়েছে তাদের জন্য। ধীরে ধীরে কেটে যাবে ভোগান্তি।

ঢাকার বাইরেও বিআরটিএ নির্ধারিত বেশিরভাগ হাসপাতালে শুরু হয়নি ডোপ টেস্টের কার্যক্রম। এ ভোগান্তির বিষয়ে জানতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কেউ কথা বলেনি।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply