অবৈধ প্রবাসীদের চাবুক মারার প্রস্তাব নিয়ে উত্তাল মালয়েশিয়া

|

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবেশকারীদের চাবুক মারার (বেত্রাঘাত) প্রস্তাব নিয়ে চলছে সমালোচনা। বেশ কয়দিন ধরে দেশটিতে চলছে অবৈধ প্রবেশকারিদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করতে হাজার হাজার রিঙ্গিত খরচ করে। তারা গরিব নয়। সম্প্রতি চাবুক মারার প্রস্তাব করার পর দেশটির বুকিত আমানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং পাবলিক অর্ডারের পরিচালক হাজানি গাজালিকে নিয়ে চলছে তর্কবিতর্ক।

প্রাক্তন মন্ত্রী পি ওয়েথা মুরথি পুলিশ কর্মকর্তার এ প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, দরিদ্র শ্রমিক যারা নিছক সৎ জীবনযাপনের চেষ্টা করছেন তাদের চাবুক মারা যাবে না। ওয়েথা বলেন, বেত্রাঘাতের মতো শারীরিক শাস্তি প্রাচীন যুগের। শ্রমিক শ্রেণিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির দ্বারা প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের নিজের দেশে এ আইন কখনই ব্যবহার করা হয়নি।

অভিবাসীদের ওপর আর্থিক বোঝা চাপানো এবং তাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর বিষয়গুলো পুলিশের তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন, মালয়েশিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট পার্টির প্রধান ওয়েথা।

সম্প্রতি, বুকিত আমান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং পাবলিক অর্ডার ডিরেক্টর হাজানি গাজালি বলেছেন, অভিবাসীরা যারা বারবার আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ধরা পড়ে তাদের প্রতিবন্ধক হিসাবে বেত্রাঘাত করা উচিত। বর্তমান অভিবাসন আইন ইতিমধ্যে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারীদের বেত্রাঘাতের শাস্তি প্রদান করে।

সেপুতেহ এমপি তেরেসা কক বলেছেন, পুলিশের উচিত দুটি বিষয়ের সমাধান করা। কীভাবে অভিবাসীরা আমাদের সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে এবং কীভাবে রিক্রুটিং এজেন্ট তাদের শোষণ করছে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের দুর্বলতার আসল ইস্যু থেকে মনোযোগ না সরিয়ে আমাদের সীমানা পুরোপুরি সুরক্ষিত করা নিশ্চিত করি। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। কারণ আমাদের নাগরিকরা বিপজ্জনক, নোংরা এবং অবমাননাকর হিসেবে বিবেচিত চাকরিতে কাজ করতে চায় না। অনথিভুক্ত অভিবাসীদের চাবুক মারা একটি বর্বর কাজ যা মানুষের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply