‘দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো’

|

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর নৈতিক কারণ নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বরং যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তুলনামূলক ভালো। র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পেছনে ভূরাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

মধ্যযুগীয় বর্বরতা কাকে বলে, তার চাক্ষুষ উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তামো বে কারাগারে। সব ধরনের মানবিকতা আর সভ্যতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিনা বিচারে এখানে হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে।

পরিসংখ্যান বলছে, বছরে দেশটিতে গুম হয় প্রায় ছয় লাখ মানুষ। আর কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তো হরহামেশাই ঘটছে দেশটিতে। জর্জ ফ্লয়েডের মতো দু-একটি ঘটনা জানাজানি হলেও বেশিরভাগই থেকে যায় আড়ালে।

পুলিশের গুলিতে ২০১৩ থেকে ২০১৯ এই ছয় বছরে মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে সাত হাজার মানুষ। এসব তুলে ধরে বিশ্লেষকরা বলছেন, সে হিসেবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো।

তবে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড কোনো দেশেই কাম্য নয় উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাকে শতভাগ বন্ধ করা জরুরি। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। বলছেন, সঙ্কট সামলাতে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক ঐক্য সবচেয়ে জরুরি। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কূটনৈতিক চেষ্টার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কারেরও তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply