এগারো বছর পর ভোট দিয়ে আবেগাপ্লুত নীলফামারীর শতবর্ষী দুই ভোটার

|

নীলফামারী প্রতিনিধি:

বয়স পেরিয়েছে শতকের ঘরে, একা হাঁটতে না পারলেও চোখে দেখতে পান মোটামুটি, নিজ ইউনিয়নে ১১ বছর পর ভোট, তাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বয়স আর শারীরিক দুর্বলতা। বলা হচ্ছে বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়া নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের কালার ডাঙা পণ্ডিতপাড়া এলাকার বাসিন্দা শতবর্ষী কমল চন্দ্র রায়ের কথা। একই ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী লান্সি বেওয়াও এসেছেন ভোট দিতে। লান্সির বয়স একশ দুই বছর।

প্রবীণ ভোটার লান্সি বেওয়া বলেন, ‘এইটা মোর শেষ ভোট।’ এবারের ভোট তিনি পছন্দের প্রার্থীকে দিতে চান। বলেন,’ ১১ বছর থেকে মুই ভোট দেও নাই। এবার ভোট দিবার আনু কোমর হেলিয়া। যাক ভোট দিছু সে যেন হয়।’

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সীমানা জটিলতা মামলার অবসান ঘটিয়ে সপ্তম ধাপে দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নীলফামারীর সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ইটাখোলা কানিয়াল খাতা ৬ নং ভোট কেন্দ্রে ভাইয়ের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে আসেন শতবর্ষী কমল চন্দ্র রায়। কমল চন্দ্র জানান, বয়স একশোর বেশি তার। সহপাঠী বা সমবয়সী বন্ধু কেউ বেঁচে নেই তার।

এতো বছর পর ভোট দিয়ে খুশি কমল। ১১ বছর পর ভোটের অনুষ্ঠানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন কমল চন্দ্র।

উল্লেখ্য, দুই ইউনিয়নে নির্বাচনে ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১০২ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৪৪ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ৪৬ হাজার ২৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply