হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা কাউকে মেসেজ পাঠিয়ে ‘সকলের জন্য’ মেসেজ ডিলিট করতে পারেন। কিন্তু কৌতূহলী মনের পক্ষে যে তা বড় সমস্যার বিষয়। কী মেসেজ এসেছিল, তা জানার জন্য গুগল প্লে অ্যাপ স্টোরে এ বিষয়ে অ্যাপও রয়েছে। ওইসব অ্যাপ ইন্সটল করা আছে অনেকের ফোনেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, এর ফলে বিপন্ন হতে পারে আপনার গোপনীয়তা?
‘ডাব্লিউএএমআর’ নামের একটি অ্যাপ রয়েছে গুগল স্টোরে। ‘ড্রিলেন্স’ অ্যাপটিও অ্যাপ স্টোরে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ। প্রায় ৫ কোটিরও বেশি ইন্সটলের রেকর্ড আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সুপারিশ করছেন। তারা জানাচ্ছেন এটি ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট গোপনীয়তা বিপন্ন করে।
যদিও ডাব্লিউএএমআর-এর হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটে সরাসরি অ্যাক্সেস নেই। কারণ হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট এনক্রিপ্ট করা থাকে৷ কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ নোটিফিকেশন ট্র্যাক করে। ফলে প্রত্যেকে যা মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তার নোটিফিকেশন ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তা রেকর্ড হয়ে থাকে। এর ফলে, পরে যদি কেউ মেসেজটি ডিলিটও করেন, সহজেই সেই নোটিফিকেশন হিস্ট্রির রেকর্ড থেকেই দেখে নেয়া যায়। কিন্তু এটি ব্যবহারকারীর তথ্যের প্রাইভেসি বিঘ্নিত করতে পারে। এমনটাই বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
এমনিতেও হোয়াটসঅ্যাপ তাদের অ্যাপের সম্পর্কিত কোনো থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের অনুমোদন দেয় না। ফলে এগুলি করে কোনো সমস্যায় পড়লে সংস্থার সমর্থনও পাবেন না। তাই কৌতূহল একটু না হয় দমনই করুন।
Leave a reply