সম্প্রতি ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি। গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, সার্চ কমিটির প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট। ফলে এ কমিটির আহ্বানে ইসি গঠনের জন্য কোনো নাম প্রস্তাব করবেন না তারা। এ নিয়ে আলোচনা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়ও। সোমবার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সভাপতি করে একটি ভার্চুয়াল সভায় সার্চ কমিটির সদস্যদের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, সদ্য পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন গঠন আইনকে বিতর্কিত বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এছাড়া সার্চ কমিটির কারোই নিরপেক্ষ ইমেজ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না বিএনপি। এই প্রক্রিয়াকে অর্থহীন এবং অগ্রহণযােগ্য বলে মনে করে দলটির স্থায়ী কমিটি। তাছাড়া যাদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষ অথবা পরােক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি তাদের।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তার পিতা আওয়ামী লীগ মনােনীত পূর্ব পাকিস্তানের প্রদেশিক পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ মনােনীত গণ পরিষদের সদস্য ছিলেন বলেও জানায় তারা। এছাড়া সার্চ কমিটির আরও একজন সদস্য ছহুল হােসেন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনােনয়ন চেয়েছিলেন, অন্য সদস্যবৃন্দরাও প্রায় সবাই বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানায় বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, বিদায়ী কমিশনের মতাে তাদেরও লক্ষ্য থাকবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
/এডব্লিউ
Leave a reply