ত্বকের যত্নে হরেকরকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন নারীরা। ভালো পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করার চলও আছে। তবে ফেসিয়ালের জন্য এককালীন হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ খরচ করার ইচ্ছে থাকে ক’জনের? বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফেসিয়ালগুলোর মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার ফেসিয়ালে খরচ হয় এমনই। এতে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মাছ ক্যাভিয়ারের ডিমের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় এই মাছের ডিএনএ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মূলত এই ফেসিয়াল ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বক আরও তুলতুলে করে তোলে। দাগ-ছোপ মিলিয়ে দেয় নিয়মিত ব্যবহারে। কিম কারদাশিয়ানের বোন ক্লোয়ি এবং কোর্টনি কারদাশিয়ান অবশ্য মাসে দুই থেকে তিন বার এই ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। ক্যাভিয়ারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
সাধারণত এই ফেসিয়াল দুই থেকে তিন সপ্তাহ অন্তর করানোই নিয়ম। তবে দূষণ, মানসিক চাপ কিংবা সন্তান সম্ভবাদের ত্বক যদি খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়, তা হলে প্রত্যেক সপ্তাহে করানোর উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফেসিয়াল একবার করাতে খরচ হবে ১ হাজার ডলারের বেশি। টাকার হিসাবে যার মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ হাজার ৮০০ এরও বেশি।
কয়েক ধাপে মোট চার-পাঁচ রকম মাস্ক ব্যবহার করা হয় এই ফেসিয়ালে। এছাড়া এক ধরনের ইনজাইম পিল, এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেসিয়াল, এলইডি লাইট ট্রিটমেন্টসহ বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ডের নানা রকম ক্রিম-ময়শ্চারাইজার এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয়। সেই সাথে থাকে মোট চার রকমের ম্যাসাজ।
নিউইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচসহ অনেক শহরেই বিশেষ স্পা রিসর্টে এই ধরনের ফেসিয়াল করানো হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করানো হয় এই দামি ফেসিয়াল।
এসজেড/
Leave a reply