স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
পটুয়াখালীর দুমকিতে মোবাইল চুরির অভিযোগে স্কুল শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করার দৃশ্য ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষা দেয়ার জন্য তার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে। দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন মাসুদ জানান, যা হয়েছে তা অন্যায়। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্কুল বন্ধ থাকায় তার বড় ছেলে রবিউল কাজ করার জন্য নাবিলকেও সাথে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ফোনে জানানো হয়, নাবিল মাদরাসার হাফেজ ওলিউল্লাহ হুজুরের মোবাইল চুরি করছে। এসময় মাদরাসার কিছু শিক্ষার্থী ও রানা মেম্বারের লোকজন নাবিলকে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল যদি নাবিল চুরি করতো তবে সে মোবাইল নিয়ে চলে আসতো। কিন্তু মোবাইল তো সেখানে রাখা কাঠের পাশেই পায় তারা। আমার ছেলে কোনো মোবাইল চুরি করেনি কিন্তুু রানা মেম্বারের লোকজন চুরির অপবাদ দিয়ে আমার ছেলের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নাবিল জানায়, বড় ভাইয়ের সাথে পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদরাসায় কাজে গেলে তাদের জানানো হয় যে কাজ বন্ধ। পরে ঐ জায়গা থেকে আসার সময় শুনি হুজুরের মোবাইল চুরি হয়েছে। তারপর মাদরাসার হুজুর ও স্থানীয় লোকজন আমাকে সন্দেহ করে মারধর করে এবং তার কিছুক্ষণ পর আমার মাথা ন্যাড়া করে দেয় রানা মেম্বার, রিপন মুন্সিসহ আরও অনেকে।
পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদরাসার হিফজ খানার হাফেজ ওলিউল্লাহ জানান, নাবিল এর বড় ভাই রবিউল আমাদের মাদরাসায় কাজ করে। নাবিলকে আজ সকালে কাজে নিয়ে আসে রবিউল। তার কিছুক্ষণ পর বেঞ্চের উপর থাকা আমার মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। নাবিলকে জিজ্ঞেস করলে সে না বললে কিছুক্ষণ পর মেম্বার রানাকে ফোন দিয়ে তার হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে কারা নাবিলের মাথার চুল কেটে দিয়েছে তা আমরা জানি না।
/এসএইচ
Leave a reply