সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধকারী শিক্ষর্থীদের উদ্যেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
এসময় উপাচার্যের সামনেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তিনজন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তবে প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন এদেরকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলেছেন। তিনি বলেন, যারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারাই হামলা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা নিয়ে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রক্টরিয়াল বডি, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কয়েকজন শিক্ষক অবরোধ তুলে নিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে কথা বলা শুরু করেন।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে সেখানে। এসেই বাঁশ, লাঠিসোঠা দিয়ে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। দৌড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের দিকে চলে গেলে সেখানে গিয়েও হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান নীল, নাহিদ হোসেন, অভিষেক মন্ডল, নিলয়, মাহমুদুল হাসান রিজু, বিকাশ কুমার মোহন্ত, অপু বিশ্বাস, পাভেল, বায়েজিদ রানা, আরিফুল ইসলাম, নাইমসহ শতাধিক নেতাকর্মী হামলা চালান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আন্দোলনরতরা দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। একটি গ্রুপ অবরোধ চালিয়ে যেতে চাচ্ছিলো, অপর গ্রুপটি অবরোধ তুলে নিতে সম্মত ছিল। এই মতবিরোধ থেকে তারা কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের সরিয়ে দিয়েছে মাত্র। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। আন্দোলনরতদের মধ্যে অণুপ্রবেশকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’
Leave a reply