ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তা অপসারণের জন্য উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না সুনামগঞ্জে। উল্টো শত শত ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে পৌরসভা থেকেই। প্রতিটি বাহনের জন্য নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই টাকা পৌরসভা আদায় করলেও জমা হচ্ছে রহস্যময় এক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
ব্যাটারিচালিত এই যান চলাচলের বৈধতা দেয়ার নামে রমরমা বাণিজ্য চলছে এই জেলায়। সম্প্রতি একসাথে ৬শ ইজিবাইকে নম্বরপ্লেট দিয়েছে পৌরসভা। এজন্য যানপ্রতি আদায় হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও নম্বরপ্লেট দিতে স্বাক্ষর করছেন মেয়র নিজেই। পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কাগজপত্র বলছে, একটি বেসরকারি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে আদায়কৃত অর্থ। পাশাপাশি প্রভাবশালী এক বড় ভাইও জড়িত এই কর্মকাণ্ডে।
কথিত সেই ‘ভাই’ শ্রমিক নেতা ও দালাল সোহেল আহমদ বলছেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাড়ে ৪ হাজার টাকায় মিলবে বৈধতা। আর মেয়ন নিজেই এটি খুব ‘স্বচ্ছভাবে’ নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানালেন তিনি।
এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পৌর মেয়র নাদের বখত। ক্যামেরায় কথা বলতে চাননি তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আইনে আছে অবৈধভাবে নাম্বারপ্লেট দেয়া বেআইনি। আর এ বিষয়ে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। তারপরও যদি কেউ অবৈধ নাম্বারপ্লেট দেন, তিনি আদালত অবমাননা করছেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply