ক্রাইমিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে রাশিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরের দিনই ক্রাইমিয়া থেকেও নিজেদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে রাশিয়া। খবর এএফপির।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্রাইমিয়ায় সামরিক মহড়া শেষে ওই অঞ্চলের সব সেনাসদস্যকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, মহড়ায় ব্যবহৃত ট্যাংক, সাঁজোয়া যান ও অস্ত্র ক্রাইমিয়া থেকে খুব দ্রুতই নিয়ে আসা হবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সীমান্ত থেকে নিজেদের সৈন্যদলকে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে মস্কো। তার পরেরদিনই ক্রাইমিয়া থেকেও সেনা প্রত্যাহার শুরু করলো তারা।

মস্কোর দাবি, ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টির করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল তারা। কিন্তু এই সেনা মোতায়েন করার ইস্যুতে রাশিয়ার সাথে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে। এক পক্ষের সেনা মোতায়েন ও অপর পক্ষের উত্তেজনায় রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা দেখা দিয়েছিল, যা এখনও চলমান।

রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধে জড়াতে চায় না, এমন দাবি রুশ প্রেসিডেন্ট শুরু থেকে করে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট পুতিনের কথায় একেবারেই আস্থা রাখতে পারছেন না। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, যে কোনো সময় ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর সমূহ সম্ভাবনা এখনও রয়েছে।

এর জবাবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউরোপে কোনো যুদ্ধ চায় না মস্কো। সেই সাথে ইউক্রেনের সাথে ন্যাটোর সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার যে আপত্তি তা এখনই সমাধান হতে হবে বলে দাবি তার। মস্কো সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও একই কথা বলেন পুতিন।

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য করা হবে না বলে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাশিয়াকে জানানো হলেও, এটি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো নিশ্চয়তা নয়। এ বিষয়টির সমাধান এখনই করা উচিত এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগ রয়েছে সেটিকে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনায় নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি’।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply