ফেসবুকে সাময়িক নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিন

|

তসলিমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত।

ফেসবুক থেকে সম্প্রতি ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয় লেখক তসলিমা নাসরিনকে। এ ঘটনার পরেই এবার তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে আগামী ৪৫ ঘণ্টা তিনি কোনো পোস্ট বা মন্তব্য লিখতে পারবেন না তার অ্যাকাউন্টে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকের পাঠানো রেসট্রিকশন সংক্রান্ত নোটিফিকেশনের একটি স্ক্রিনশট তিনি পোস্ট করেন নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে।

‘আমার জন্য একুশে ফেব্রুয়ারির উপহার’ ক্যাপশনে পোস্ট করা এই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ২৮ দিন তার পোস্ট সবার নিচে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ফেসবুক। অর্থাৎ তার অ্যাকাউন্টের কোনো পোস্ট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজ থেকে ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে আসবে না। এছাড়া রেসট্রিকশন দেয়ার পরবর্তী ৪৫ ঘণ্টা তিনি কোনো পোস্ট বা মন্তব্য লিখতে পারবেন না। সেই সাথে আগামী ৫ দিন কোনো ফেসবুক গ্রুপেও যোগ দিতে পারবেন না তিনি।

তবে ঠিক কী কারণে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। যদিও, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তার একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। সেখানে তিনি ঈদ, পূজা, বড়দিনের বদলে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি, পয়লা বৈশাখ, প্রথম ফাল্গুন, নবান্নের উৎসব ও বইমেলার মতো দিনগুলোকে উদযাপনের তাগিদ দেন। ওই দিনই ফেসবুক থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে।

রেসট্রিকশনের নোটিফিকেশনের ছবির নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এগুলো ঘটে পোস্ট রিপোর্ট হয় বলে। তোমার শত্রুর অভাব নেই’। কেউ বা লিখেছেন, ‘রিচ নিয়ে বড় সমস্যা দেখি না। আপনার পোস্ট যারা পড়ে, তারা খুঁজেই পড়ে’।

তসলিমা নাসরিনের এই পেইজ থেকে সর্বশেষ পোস্টটি করা হয়েছে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে। সেখানে তার বিরুদ্ধে ভারতের রাজনীতিবিদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসির করা বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। লেখেন, ‘ভারতের রাজনীতিবিদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি ধর্মের রাজনীতি করেন। তিনি প্রায়ই আমার উদ্দেশে ঘৃণা ছুড়ে দেন, কারণ আমি ”রিফিউজি”। একই সাথে তাকে মারার জন্য ওয়েইসি একাধিকবার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন সেই পোস্টে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply