পেরুর প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায় ৮০০ থেকে ১২০০ বছর আগের প্রাচীন মমি আবিষ্কার করেছেন। এসব মমির মধ্যে আটটি শিশু এবং ১২টি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ আছে। পেরুর রাজধানী লিমার পূর্বাঞ্চলের প্রাক-ইনকা সভ্যতার নিদর্শন কাজামারকুইলা ভবন থেকে এসব মমি উদ্ধার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব মমি কাজামারকুইলা ভবনের বাইরে ভূগর্ভস্থ সমাধিতে পাওয়া গেছে যেখানে গত বছরের নভেম্বরে পেরুর স্যান মারকোস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক প্রাচীন আমলের কিছু মমি খুঁজে পেয়েছিলেন। উদ্ধারকৃত মমিগুলোর মধ্যে একজনের দেহ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল যা কোনো ভিআইপির বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক পিটার ভ্যান ডালেন বলেন, মৃতদেহের কিছু মমি করা ছিল এবং অন্যগুলো কঙ্কাল। আর এসব প্রাচীন প্রাক-হিস্পানিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্তরে কাপড়ে মোড়ানো ছিল। সম্ভবত মূল মমির উদ্দেশে এসব উত্সর্গ করা হয়েছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাদের জন্য মৃত্যুই শেষ ছিল না। বরং এক স্থান থেকে আরেক স্থানে প্রস্থান, যেখানে মৃতরা বাস করে। তারা ভাবতেন যে, মৃতদের আত্মা জীবিতদের রক্ষক হয়ে ওঠে। তাদের সমাহিত করার ধরনটি বেশ পরিচিত। প্রায় সতের শ’ বছর আগে শিশু এবং বয়স্কদের সাথে সিপানের লর্ডকে যেভাবে সমাহিত করা হয়েছিল, তার সাথে এই মমিগুলো উদ্ধার হওয়া সমাধির মিল রয়েছে।
ইনকা সভ্যতার আগে এবং পরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতির শত শত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের আবাসস্থল পেরু। যা ৫০০ বছর আগে ওই মহাদেশের দক্ষিণ অংশজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এই সভ্যতা দক্ষিণ ইকুয়েডর থেকে কলম্বিয়া ও চিলির মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
/এনএএস
Leave a reply