রুশ বিমান বাহিনীর হামলা মোকাবেলায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনের এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের ব্যাখ্যা, এতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ওয়াশিংটন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নো ফ্লাই জোন চেয়ে বলেন, খারকিভে আকাশপথে গোলা ছুঁড়ছে রুশবহর। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যা স্পষ্টভাবে যুদ্ধাপরাধ। এর জন্য রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় নেয়া উচিৎ। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা বিশ্বকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
তবে তার এ আহ্বানে সাড়া না দিয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবারই স্পষ্ট করেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। এখানে লক্ষ্য করা প্রয়োজন, নো ফ্লাই জোন কেবল ঘোষণা নয় বাস্তবায়নের বিষয়। আর সেজন্য মার্কিন সেনা মোতায়েন দরকার হবে। যেটা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে নামার শামিল।
এদিকে রুশ হামলায় রীতিমতো নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর খারকিভ। সোমবার রাত থেকেই চলছে দফায়-দফায় হামলা। সাইরেন শুনে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যাওয়ার আগেই লোকালয়ে ছোঁড়া হচ্ছে গোলা-বারুদ।
এর মধ্যেই আতঙ্কের খবর দিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা ম্যাক্সার। কিয়েভ অভিমুখে ৪০ মাইল দীর্ঘ ট্যাংক বহরের ছবি প্রকাশ করেছে তারা। যা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইউক্রেনের মনোবল। ক্রেমলিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অভিযানের সবশেষ খুঁটিনাটিও। রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, রুশ সেনাবাহিনী এক হাজার ১৪৬টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সে তালিকায় রয়েছে কমান্ড পোস্ট, কমিউনিকেশন সেন্টার, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং রাডার স্টেশন। ৩১১টি ট্যাংক, ৪২টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, ৫১টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, ১৪৭টি কামান এবং ২৬৩ ইউনিট বিশেষ সামরিক যান ধ্বংস করা হয়েছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply