নারায়ণগঞ্জে বহুতল ভবন থেকে মা ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের লাশ উদ্ধার

|

প্রতীকী ছবি।

নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জে একটি বহুতল ভবন থেকে মা ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডালপট্টি এলাকার ওই ভবনের ছয়তলা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ঘাতক জুবায়েরসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন মা রুমা চক্রবর্তী (৪৬) ও মেয়ে ঋতু চক্রবর্তী (২২)। আটকদের একজন হলেন স্থানীয় মো. জুবায়ের। আটক নারীর নাম জানা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, আটক জুবায়ের বেলা আড়াইটার দিকে নিহতদের বাসার দরজায় নক করেন। এ সময় রুমা চক্রবর্তী দরজা খোলামাত্র জুবায়ের তার পেটসহ পুরো শরীরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে একইভাবে কক্ষে থাকা ঋতু চক্রবর্তীকেও ছুরিকাঘাত করে খুন করেন জুবায়ের। পরে রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে আটক নারীকে নামতে দেখে সন্দেহ হলে নিহতের প্রতিবেশীরা ভবনের প্রধান দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তাদের আটক করে পুলিশে দেন তারা।

ওসি আরও বলেন, নিহতদের শরীরে ছুরির আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে। তবে এখনই সব বলা যাচ্ছে না। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকতা জানান, জুবায়ের ছিনতাই বা চুরি করার উদ্দেশ্যে এই ফ্লাটে প্রবেশ করে। তার ব্যাগ থেকে কয়েকটি স্বর্ণালঙ্কার উদ্বার করা হয়েছে। মূলত ছিনতাইয়ের কাজে বাধা দেয়ার কারণেই মা-মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে জুবায়ের।

নিহত রুমার স্বামী বাসুদেব চক্রবর্তী বলেন, আমার সব কেড়ে নিয়েছে। আমার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মেয়ের সুবিধার জন্য বাপের বাড়ি নিয়ে আসি। আমার কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই। আমি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

শংকর সাহা নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, মাতৃভবনের ছয়তলায় চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে এসে ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেই। এ সময় এক নারী উপর থেকে বটি হাতে নিচে নেমে আসে। সে গেইট খুলে দেয়ার জন্য বারবার বলছিলো। পরে পুলিশ এসে ওই নারীকে বটিসহ আটক করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু জানান, আটক জুবায়ের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। তার ব্যাগে থেকে তিনটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply