গানের কনসার্ট হোক বা বিয়ের অনুষ্ঠান, জোরে গান বাজানো আনন্দের বা উদযাপনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হেডফোনেও জোরে গান শোনার অভ্যাস আছে অনেকের। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এর মাধ্যমে শ্রবণশক্তির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই গত ২ মার্চ বিশ্ব শ্রবণক্ষমতা দিবস উপলক্ষে এ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে ডব্লিউএইচও এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে খুব জোরে গান শুনলে বা জোরে শব্দ হচ্ছে এমন কোনও কিছুর সামনে থাকলে শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণেই বিশ্বজুড়ে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সি ১০ লক্ষ মানুযের শ্রবণক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
হেডফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য কমবয়সিদের শ্রবণক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তাই গান শোনার সময়ে বা ভিডিও গেম খেলার সময়ে শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খুব জোরে শব্দ হচ্ছে এমন কোনো এলাকায় গেলে ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
সেই সাথে যেকোনো অনুষ্ঠানে শব্দের তীব্রতার একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। বলা হচ্ছে, সবোর্চ্চ ১০০ ডেসিবল পর্যন্ত যেতে পারে কোনো অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতা। অনুষ্ঠানে আওয়াজের তীব্রতায় নজরদারি রাখার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচও এর সহকারী পরিচালক ড. রেন মিংঘুইয়ের মতে, এই উদ্যোগে পাশে থাকতে হবে সরকার ও নাগরিক সমাজকেও। যারা অডিও ডিভাইস বানান, ভিডিও গেমের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করেন, তাদের আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে।
হেডফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরও বেশ সতর্ক থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে ডব্লিউএইচও এর এই প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে,
১) প্রয়োজন ছাড়া হেডফোন নয়। অনেকে প্রায় সারাদিন কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনেন। এ কারণে শ্রবণশক্তির ক্ষতি হয়।
২) গান শুনলে কিংবা হেডফোনে কথা বলার সময়ে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর কান থেকে খুলে বিশ্রাম নিন।
৩) হেডফোন ব্যবহারের সময়ে আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৪) সম্ভব হলে ‘নয়েজ’ নিয়ন্ত্রণকারী ভালো কোনো হেডফোন ব্যবহারের দিকেও জোর দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
এসজেড/
Leave a reply