কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত ৬ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এখন দৃশ্যমান। প্রত্যেকেই নানা পেশায় যুক্ত; আয়-রোজগারও বেশ ভালো। মূলত কর্মসংস্থানের সুযোগই পাল্টে দিয়েছে ভাসানচরের চিত্র। স্থানান্তরে আগ্রহ বাড়ছে অন্যদের।
কক্সবাজারের উখিয়ার একটি ক্যাম্প থেকে স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার শুরুর দিকেই ভাসানচরে এসেছিলেন কেফায়েত উল্লাহ। তিনি জানালেন, প্রথমদিকে কোনো কাজ না থাকলেও কিছু দিনের মধ্যে ওইখানকার পতিত প্রায় এক একর জায়গায় শুরু করেন সবজির চাষ। এই সবজি ক্ষেত থেকেই তার মাসিক আয় অন্তত ৯ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
প্রায় ১৭শ’ একরের ভাসানচরে এখনও পতিত অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৯শ’ একর জায়গা। ওইসব জমিতে সবজির চাষ করে নগদ অর্থ আয় করছেন শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার।
অন্যদিকে নারীরাও যুক্ত হয়েছেন কাজে। আনোয়ারা, ১৯ বছরের এই তরুণী ভাই এবং মাসহ ভাসানচরে এসেই একট ফ্যাশন হাউজের কারখানায় কাজ শিখে এখন দৈনিক আয় করছেন অন্তত তিনশত টাকা।
শরনার্থী ত্রাণ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ভাসানচরে এসেছেন ৬ হাজারের বেশি পরিবারের ২৩ হাজার ১৯ জন। প্রত্যকে আছেন স্বাচ্ছন্দে।
শরনার্থী ত্রাণ এবং প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখানে রোহিঙ্গাদের যে সংকট ছিল তা অনেকাংশে কমে গেছে। আমরা প্রদক্ষেপ নিচ্ছি, বাকিগুলোও কমে যাবে। একন তারা অনেকটুকু সন্তুষ্ট।
নগদ অর্থের লেনদেন বাড়ায় ভাসানচর ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে রোহিঙ্গাদের। এরমধ্যেই সেখানে যাওয়ার দেখিয়েছেন আরও ১০ হাজার রোহিঙ্গা।
/এমএন
Leave a reply