গরম পানি ও গরম খুন্তি দিয়ে প্রায়ই শরীর পুরিয়ে দেয়া হতো ১২ বছর বয়সি এক গৃহকর্মীর। সবশেষ নির্যাতন করে বাথরুমে আটকে রাখে তিনদিন। কান্না শুনে পাশের বাসার কেউ জরুরি হেল্পলাইন ট্রিপল নাইনে ফোন করলে ভাটারা থানা পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে। নির্যাতনের অভিযোগে আটক করা হয় এজাজ সাকলায়েন ও তার স্ত্রী তানজিনা হামিনকে। রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে পুলিশ।
দুই মাস আগে সাড়ে তিন হাজার টাকা চুক্তিতে বাসায় গৃহকর্মী নেয় এজাজ-তানজিনা দম্পতি। নির্যাতনের শিকার ওই শিশু অভিযোগ করেন, কাজ করতে দেরি হলে কিংবা ঘুম থেকে জাগতে সময় নিলেই ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হতো তার শরীরে। নির্যাতন চালাতো মধ্যযুগীয় কায়দায়। আর তার চিহ্নও শিশুটি বয়ে বেড়াচ্ছে তার সারা শরীরে। শিশুটি বলছে, প্রথম দিকে নির্যাতন চড়-থাপ্পরে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। ভালোমতো কাজ করতে না পারায় গরম পানি ঢেলে দেয়া হতো তার শরীরে। খুন্তি আগুনে পুড়িয়ে লাল করে লাগিয়ে দেয়া হতো তার শরীরে।
গত বৃহস্পতিবার রাতেও কোমলমতি শিশুটির শরীরে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করে গৃহকত্রী তানজিনা। তারপর আটকে রাখে বাথরুমে। তিনদিন ধরে বাথরুমেই আটকা ছিল সে। শরীরের ক্ষত আর পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করলেও দরজা খোলেনি কেউ। শিশুটি জানায়, তিনদিন ধরে ট্যাপের পানি খেয়ে বেঁচে ছিল সে।
কান্নার শব্দ শুনে পাশের বাসার একজন ফোন দেয় পুলিশের জরুরি সেবা নম্বরে। উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
শিশুটির বাবা মার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় তারা যেন থেকেও নেই। ময়মনসিংহে নানীর কাছে থাকতো সে। পরিচত এক নারীর মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজে আসে ঢাকায়।
/এডব্লিউ
Leave a reply